সিবিএন ডেস্ক

অপহরণ’, উদ্ধার এরপর আদালতের আদেশে নিজ জিম্মায় মুক্ত কবি ও লেখক ফরহাদ মজহার হাসপাতালে এখনও ঘোরের মধ্যে আছেন বলে জানিয়েছেন তার ছোট বোন সীমা দাস শিমু। তিনি জানান, ‘সুস্থ’ হলেই তার ভাই সংবাদ সম্মেলন করে তার বক্তব্য জানাবেন।

ফরহাদ মজহার এখন রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার বোন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ভাইয়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস এবং হৃদরোগে ভুগছিলেন। এই দুই দিন ওষুধ না খাওয়ায়  তার শারীরিক অসুবিধা হয়েছে।’

গত সোমবার ভোরে রাজধানীর শ্যামলীর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তাকে অপহরণের অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। দিনশেষে রাতে খুলনা থেকে একটি বাসে করে ঢাকায় আসার সময় যশোরের অভয়নগরে তাকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পরদিন সকালে ঢাকায় নিয়ে আসার পর গোয়েন্দা পুলিশকে আলোচিত-সমালোচিত এই প্রাবন্ধিক জানান, তিনি ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন ওষুধ কিনতে। তবে এর আগে স্বজনরা জানিয়েছিলেন, তিনি একটি ফোন পেয়ে ভোরে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।

গোয়েন্দা পুলিশের কাছে বক্তব্য দেয়ার পর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন ফরহাদ মজহার। তিনি নিজ জিম্মায় জামিন চাইলে বিচারক না মঞ্জুর করেন এবং তিনি বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন মঙ্গলবার।

বুধবার হাসপাতালে গিয়ে দেখানে পাওয়া যায় আলোচিত এই লেখক-প্রাবন্ধিকের ছোট বোনকে। ফরহাদ মজহারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন তিনি কথা বলতে পারবেন না। তিনি এখন ঘোরের মধ্যে আছে। সংবাদ সম্মেলন করে আপনাদের সঙ্গে কথা বলবে ভাইয়া (ফরহাদ মজহার)।’

কবে সংবাদ সম্মেলন করা হবে জানতে চাইলে সীমা দাস শিমু বলেন, ‘সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে। ’

বারডেম হাসপাতালে ১১০৬ নম্বর কেবিনের নেইম প্লেটে দেখা যায় ফরহাদ মজহারের নাম। বারডেমের ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান এ কে এম মুসার তত্বাবধানে ফরহাদ মজহার রয়েছেন। তার চেম্বারে কথা বলতে গেলে এ কে এম মুসা বলেন, ‘তিনি (ফরহাদ মজহার) ভালো আছে। আমি আর কোন কথা বলতে চাই না।’

মঙ্গলবার রাতে ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার ও মেয়ে সম্তলী হক এক বিবৃতিতে জানান, আদালতের আদেশে মুক্তি দেয়ার পর সরাসরি রাজধানীর শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) ভর্তি করা হয়েছে। তিনি (ফরহাদ মজহার) আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস এবং হৃদরোগে ভুগছিলেন।

ফরহাদ মজহার সুস্থ ও স্থিতিশীল হওয়ার আগ পর্যন্ত ডাক্তাররা তাকে নিবিড় পরিচর্যায় থাকতে বলেছেন এবং কথা বলতে নিষেধ করেছেন বলে জানান এই দুই জন।